দুই শিক্ষাবিদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (০৬ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব ও ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষাবিদ মমতাজ খানম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
পরে মামুন মাহবুব বলেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে সুপরিচিত, স্বনামধন্য, প্রতিথযশা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানে সাম্প্রদায়িকীকরণ ও পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেমন এখানে গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন আজাদ, শরৎচন্দ্র, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দেশ চালাচ্ছে তখন এটা কিসের ষড়যন্ত্র। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণীতে সুপরিচিত লেখকদের লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাতে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সামাজিক, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও যেখানে সব ধর্মের স্বনামধন্য লেখকের লেখা ছিলো। কিন্তু গত বছরের ৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের দেওয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসে ১২টি বিষয় বাদ দিতে বলা হয়। যার মধ্যে হুমায়ুন আজাদসহ বিশিষ্ট লেখক রয়েছেন।
২০১৭ সালে এসে এনসিটিবি হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী অনেক বিষয় বাদ দিয়ে এবং হেফাজতের আবেদন মতো বিষয় যুক্ত করে। এর মধ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীসহ বিখ্যাতদের লেখা বাদ দেওয়া হয়।
অথচ তদের লেখা পাঠ্যপুস্তকে পাকিস্তান আমলে ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬,২০১৭/আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস