মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
মামলার কোন অংশের পুনঃতদন্ত চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে সৌদি থেকে অর্থ ট্রাস্টের নামে এসেছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে সৌদি থেকে কোনো অর্থ আসেনি। অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। এ অংশ পুনঃতদন্ত চেয়ে করা আবেদন ২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
ইএস/জেডএস