সোমবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আগামী ৪ এপ্রিল ওই প্রকৌশলীকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ওই গৃহকর্মীর বাবার করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) বিধি অনুযায়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ৫ মার্চ ‘রাজউক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের কারিশমা! কিশোরী গৃহকর্মীকে ৩ মাস গুম করে রাখার অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাহানারা বেগম। এরপর আদালত ওই প্রকৌশলীকে তলব করেন।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, কিশোরী গৃহকর্মীকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বাসা থেকে গৃহকর্তার হাতে গত তিন মাস ধরে রহস্যজনকভাবে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত গৃহকর্তা বহুল আলোচিত রাজউক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান তাজের মেয়ের সন্ধান চাইলে নানা টালবাহান শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি ওই গৃহকর্তা থানা পুলিশে এসব বিষয়ে অভিযোগ ‘না’ দিতেও কড়া ভাষায় নিষেধ করেছেন নিখোঁজ কিশোরীর পরিবারকে।
অপরদিকে দীর্ঘদিন পার হলেও মেয়ের কোনো সন্ধান পাননি হতদরিদ্র বাবা অসহায় আব্দুল আজিজ খান। তিনি সন্তান শোকে পাথর ও হতাশ হয়ে পড়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুল আজিজ খান জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
ইএস/জেডএস