সোমবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ১০ আসামির মধ্যে ৪ জনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাইকোর্টে হাজির করা হয়।
আদালতের ওই আদেশ অনুযায়ী সোমবার ডিআইজি প্রিজন মো. তোহিদুল ইসলাম আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাকে সতর্ক করে অব্যাহতি দেন।
পরে তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছি। বলেছি, ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে যে চারজনকে আনা হয়েছে তারা জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। আইন অনুযায়ী পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতে যে কোনো আদালতে আমরা আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠাই। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আদালত বলেছেন, ভবিষ্যতে আসামিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আর আদালত কক্ষে পাঠানো যাবে না। আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলবো।
লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি সাংবাদিকদের বলেন, চার বছর আগেই ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির যাবে না মর্মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। রায়ের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন ডিআইজি প্রিজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭/আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা
ইএস/আরআর/এমজেএফ