এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৩ মার্চ) রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালার ৩৯ ধারার এডহক কমিটির বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ০৭ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, এডহক কমিটির মাধ্যমে ভিকারুন্নিসায় স্কুল পর্যায়ে তিনশ’ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ে মাসিক পাঁচশ’ টাকা হারে বেতন বাড়ানো হয়। এছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বার্ষিক পাঁচশ টাকা হারে শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডের জন্য (হিতৈষী) ভাতা নেওয়া হয়। আদালত এসব বর্ধিত বেতন ফি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন।
২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা প্রবিধানমালা ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হলে, তা সঠিকভাবে গঠিত না হলে বা ভেঙে দেওয়া হলে অনধিক ছয় মাসের জন্য এডহক কমিটি গঠিত হবে।
এ বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, প্রবিধানমালার এই ধারাটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯ ধারার সঙ্গেও এটা সাংঘর্ষিক। কারণ অধ্যাদেশে এডহক কমিটি গঠনের কোনো বিধান ছিল না। এডহক কমিটি সংবিধানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। অনির্বাচিত এডহক কমিটি থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে। তাই আদালত ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭/আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস