মাগুরার জেলা জজ ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে ২২ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৩ মার্চ) এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট সূত্র জানায়, ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট দেওয়ায় ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ১৭ নভেম্বর জজ আদালত তা শুনতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে সবুজের আইনজীবী তার পক্ষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। সবুজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবারের।
পরে মনিরুজ্জামান কবির জানান, আইন অনুযায়ী যেকোনো মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট (মাগুরা) দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের যেকোনো মামলা আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এই মামলা আমলে নেওয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এসব বিষয়ে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
২২ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারককে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
ইএস/আইএ