একইসঙ্গে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, আইজিপি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধক্ষ্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
‘জমি কেনা নিয়ে নয়ছয়’ শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সাবেক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ১২ মার্চ রিট করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অতিথি নিবাস বানানোর জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কিনেছে। দলিলে এই জমির দাম দেখানো হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটে চুক্তিপত্র অনুমোদন করানো হয়েছে ১১ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতি কাঠা ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার কিছু বেশি’।
তবে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিরপুল পুকুরপাড় এলাকায় ছোট জমির দাম প্রতি কাঠা ৪০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা। বড় আয়তনের ও বাণিজ্যিক জমির দাম অবশ্য এর চেয়ে অনেক বেশি।
তারা বলেন, ‘এই জমি যেহেতু বাণিজ্যিক নয়, তাই সাড়ে ৩ কাঠা জমির দাম ১১ কোটি টাকা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ ঢাকার খালিদ মাহমুদের কাছ থেকে গত বছর অক্টোবরে সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন। কাগজপত্রে দেখা যায়, খালিদ মাহমুদ গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এই জমি কেনেন ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ কয়েক মাসের ব্যবধানে শুধু কাগজে-কলমে জমির দাম বেড়েছে চার গুণের বেশি। কাঁঠালবাগান এলাকাটি পড়েছে ধানমন্ডি মৌজায়। সরকারি হিসাবে এখানে প্রতি কাঠার ন্যূনতম দাম সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪,২০১৭/আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস