৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই কর্মকর্তার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কেন তাদেরকে অপসারণ করা হবে না তা জানাতে হবে।
এ বিষয়ে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এ আদেশ দেন।
ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই দুই ব্যক্তির অদক্ষতা প্রমাণিত হওয়ার পরও তারা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এটি জনস্বার্থবিরোধী। তাই এ আবেদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরর্বতী আদেশের জন্য আগামী ০৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারাদেশে ২৮ জন শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিচার শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পাঁচ আসামিকেই খালাস দেন বিচারিক আদালত।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩ ও ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ০৯ মার্চ খালাসপ্রাপ্ত পাঁচজনকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর