রেস্টুরেন্টগুলো হলো- সই থ্রি, বিটার সুইট ও ফর্ক নাইফ।
আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৬ জুন) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ না মানায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে চার মালিককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ ও এম এ মতিন ২০১১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন দেওয়া রায়ে তিন বছরের মধ্যে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ইতিপূর্বে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমণ্ডি-২, ২৭ নম্বর সড়ক, সাত মসজিদ ও মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে রায়ে বলা হয়।
কিন্তু আজ পর্যন্ত ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়ক থেকে ওই তিন রেস্টুরেন্ট সরাননি মালিকরা। এ বিষয়ে গত ০১ জানুয়ারি মালিকদেরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটি সরানোর অনুরোধ জানানো হয়। এরপরও আদালতের আদেশ না মানায় তাদের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর