ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকী বাংলানিউজকে জানান, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বাদিনী রিনার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের কথা বলে তার তরুণী মেয়ে নাসিমা আক্তার প্রিয়াকে (২৪) মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়ে তার মুখমণ্ডলে কবিরাজ সুজন (৩০) অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।
পাবনার নাজিরপুরের বাবুল প্রামাণিকের ছেলে সুজন হোসাইন পেশায় কবিরাজ। বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র ও দৈবশক্তি দিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে তাকে একনামে সবাই চেনেন। তিনি বাদিনী ও ভিকটিমের পূর্বপরিচিত।
বাদিনীর বাড়ি থেকে কিছু টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি গেলে তা উদ্ধারে সুজনের ডাক পড়ে। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সুজন তাদের বাড়িতে এসে একদিন থেকে তিনদিন পর আবার আসার কথা বলে চলে যান। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফিরে এসে মালামাল শনাক্তে বাদিনীর মেয়েকে তার সঙ্গে দিতে বলেন।
বাদিনী মামলায় উল্লেখ করেন, ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় সরল বিশ্বাসে মেয়েকে সুজনের সঙ্গে দেন। ওইদিন রাত পৌনে বারটায় সুজন ফোন করে জানান, মিরপুর চিড়িয়াখানায় কে যেন তার মেয়েকে এসিড মেরেছেন। মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সুজন বাদী হয়ে রাজধানীর শাহআলী থানায় মামলাও দায়ের করেন। এরপর তিনি পলাতক হন।
ভিকটিমের মা মামলার বাদিনী রিনা মেয়ের মুখে সব কথা শুনে সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়ে দেখেন, এ ঘটনায় তিনি আগেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে সে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর ২৪ অক্টোবর সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিনা।
মামলা দায়েরের পর পাবনা থেকে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।
গ্রেফতারের পর আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে ভিকটিমকে অ্যাসিড মারার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ভিকটিম নাসিমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নাসিমা বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তার জন্য সুজনের সঙ্গে স্ত্রীরও ডিভোর্স হয়ে যায়। প্রতিশোধ নিতেই তিনি এ কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমআই/এএসআর