সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একটি জাতীয় দৈনিকে শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হলে স্বপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) হয়ে রুলটি জারি করা হয়।
রুলে প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য ওই জনপ্রতিনিধিরা কেন দায়ী হবেন না এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্ব স্ব এলাকার প্রতিটি বাল্যবিবাহের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ তথা পদচ্যুত করা হবে না- তার জবাব দিতে বলা হয়েছে বিবাদীদেরকে।
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব এবং সমাজকল্যাণ সচিবকে এ রুলের বিবাদী করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে এ আদেশ সকল জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে (ইউএনও) জানিয়ে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ০৩ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
‘২৪ ঘণ্টায় আট বাল্যবিবাহ বন্ধ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২৬ অক্টোবর বিকেল থেকে ২৭ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত নাটোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ঢাকার সাভারে আট কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রেহাই পায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায়’।
‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ঘটনা ছিল ১৩ হাজার ৩৩৪টি। পরের বছর ১৫ হাজার ৭৭৫টি বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেলেও ২০১৬ সালে তা ৬ হাজার ৩৮৯টিতে নেমে আসে’।
‘ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। ১৮ বছর বয়স হওয়া আগেই বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ইএস/আরআর/এএসআর