এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এ রায় দেন। স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সাতজনকে রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোকলেছুর রহমান।
পরে ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দুই বছর বয়সে টাইফয়েডে প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরা ইউনিয়ন চন্দনধুল গ্রামের রাসেল ঢালী। কিন্তু প্রতীবন্ধিত্ব নিয়েই বিএ পাসও করেন তিনি।
২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে মুন্সীগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন রাসেল ঢালী। ওই পরীক্ষায় উত্তর্ণ ৫৭ জনের মধ্যে রাসেলও ছিলেন। পরবর্তীতে এই ৫৭ জন থেকে মুন্সীগঞ্জে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই ১৫ জনের কেউই প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ পাননি। কিন্তু রাসেলের আবেদনটি ছিল প্রতিবন্ধী কোটায়।
নিয়োগ পেতে অবশেষে রাসেল হাইকোর্টে রিট করেন। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ওই রুলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ