ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকা বারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
ঢাকা বারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

ঢাকা: ‘এশিয়ার বৃহত্তম বার’ খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

দুইদিন ব্যাপী ভোট গ্রহণের শেষ দিন বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

মাঝে বিরতি ছিল এক ঘণ্টা।

এর আগে প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ৩ হাজার ৬৫২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং দ্বিতীয় দিন ৫ হাজার ৩৫৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এতে দুই দিনে মোট ৮ হাজার ৯১১টি ভোট জমা পরেছে।

বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) দুপুর ২টা থেকে ভোট গনণা শুরু হবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে ‘সাদা প্যানেল’ এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ব্যানারে ‘নীল প্যানেল’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

২৭টি পদের বিপরীতে মোট ৫৫ জন প্রার্থী লড়ছেন এবারের নির্বাচনে। বড় দুই প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার ২৪ জন হলেও বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার ১২৯ জন।

সম্পাদকীয় পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে আবদুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন। এছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটওয়ারী, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক পদে এম মনিরুজ্জামান মনির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাছলিমা আক্তার রিতা, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাদিয়া আফরীন শিল্পী লড়ছেন।

সদস্য পদে এ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মো. হাসান আকবার আফজাল, সুমন মিয়া, মো. নুরুদ্দিন, শেখ সাইফুর রহমান সুমন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, মোহা. আহসান হাবীন, সাদিয়া আফরোজা, সাবিনা আক্তার দিপা, মির্জা মো. জামাল হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম, সিফাত নাহার সুমি ও তুষার ঘোষ।

সম্পাদকীয় পদে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান। সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক পদে এবিএন ইফতেখারুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হায়দার জীবন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এমএবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. খলিলুর রহমান।

সদস্য পদে এ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন একতান্দার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভুইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মুকতাদির আহমেদ কাজল, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মো. শাহীন হোসেন, মো. জাহেদ উল আলম জ্যোতি, মেহেদী হাসান বাদল, মো. ইব্রাহিম স্বপন, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. জেবুন্নেছা খানম জীবন, নজরুল হক শুভ, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই।

বড় দুই প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে মৌসুমী বেগম ওরফে ঢাকাইয়া মৌসুমী নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার আব্দুল মান্নান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২০১৭-১৮ মেয়াদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ট্রেজারারসহ মাত্র ছয়টি পদে জয়লাভ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।