ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন: ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন: ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা: রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যাখ্যা জানাতে হবে। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই আদেশ বাস্তবায়নে আরও কয়েকবার সময় দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত এনবিআর এর কাছে ৫ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

এর আগে ২৩ জুন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে রায় বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনটি কার্যতালিকায় আসে।

পরে ২২ অক্টোবর এনবিআর এর একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থল ও নৌ বন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত ফল আমদানি রোধের জন্য ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিট পিটিশন দায়ের করেন।  

ওই পিটিশনের আলোকে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল স্থল ও নৌ বন্দরে ৬ মাসের মধ্যে কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন এবং আমদানি করা সব ফলের কেমিক্যালমুক্ততা নিশ্চিত হয়ে দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন।  

ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুন হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে উপযুক্ত বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে ২৬ আগস্ট রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে দেশের ৬টি কাস্টম হাউজ এবং ১৪টি শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ফল আমদানির সুযোগ রয়েছে। তবে দেশের ৬টি কাস্টম হাউজের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকা এর মাধ্যমে ফল আমদানি হয়ে থাকে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক রাসায়নিক ল্যাব রয়েছে।  

ফল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি করা ফল ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত কিনা তা ওই ল্যাবে নিশ্চিত হয়েই খালাস প্রদান করা হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্যান্য কেমিক্যাল শনাক্তকরণের জন্য র‌্যামন স্পেকটোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ন্যূনতম সময়ে প্রায় ১৩ হাজার কেমিক্যাল শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।

২২ অক্টোবর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, ২০১২ সালের হাইকোর্টের রায় ছিল যেসব বন্দর দিয়ে ফলমূল আমদানি হয়ে থাকে, সেখানে যেন রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে মানসম্মত অত্যাধুনিক রাসায়নিক গবেষণাগার রয়েছে।  

সেখানে পরীক্ষা করে ফলমূল আমদানি করা হয়। কিন্তু মোংলা বন্দর এবং বেনাপোল বন্দরে রাসায়নিক পরীক্ষাগার রয়েছে। তবে সেখান দিয়ে আপাতত ফলমূল আমদানি হয় না।  

ফলমূলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। সেই সঙ্গে এ রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।