রোববার (২৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইঁয়া।
বিচারপতি এ ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইঁয়া জানান, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিস্ক্রিয়তা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭(ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক উপযুক্ত শিক্ষা, ও স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতের বিষয়ে রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু ক্রমাগত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, ব্যক্তিত্বের সংকট, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এসব বিষয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। এ কারণে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন।
আবেদনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
ইএস/এমএ