ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকার ভোট বাতিলের আবেদন করা যাবে ট্রাইব্যুনালে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
ঢাকার ভোট বাতিলের আবেদন করা যাবে ট্রাইব্যুনালে

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে সংক্ষুব্ধরা ভোট বাতিলের জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এরইমধ্যে দুই সিটি ভোটের জন্য ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ইসির আইন শাখার মো. শরীফ হোসেন হায়দার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালত ঢাকাকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। আর ঢাকার (১ম আদালত) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এরইমধ্যে গণমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সংক্ষুব্ধরা ট্রাইব্যুনালে প্রতীকার চাইতে পারবেন।

ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবে।

যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে। আবেদনের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুকূলে ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে রাখার রশিদ সংযুক্ত করতে হবে।

নির্বাচন বিধিমালার ৫৯ বিধিতে বলা আছে- অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’

এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করবে আবেদনকারীকে।

বিধিমালার ৬১ বিধিতে বলা হয়েছে- উভয়পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, মেয়র-কাউন্সিলর বা সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনি আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনকারী শুনানির যেকোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী মারা গেলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ নয়টি দলের ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে লড়েন সাড়ে সাতশ প্রার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।