রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার রায়সাহেব বাজার এলাকা থেকে রিয়াদসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, শনিবার রাত দুইটার দিকে ইয়াবাসহ রিয়াদ ও খোকন নামে দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে তল্লাশি করে চার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
পরে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গেন্ডারিয়া এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নূরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও দিন প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টার পাপনকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ ও তার সহযোগীরা।
পরে উল্টো তিন সাংবাদিকের নামেই গেন্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিয়াদ। জিডিতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রিয়াদ অভিযোগ করেন, ‘সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ‘বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে গোলোযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। ’
পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে 'সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে' রিয়াদকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
কেআই/এসএইচ