কারাগারে যাওয়া জামায়াত নেতাকর্মীরা হলেন- মাসুম বিল্লাহ, মোফাছসির বজলুর রহমান আমিনী, মোতাহার হোসেন, রাজিবুল ইসলাম, মাসুদ রানা, মহসীন উদ্দিন, ওমিদুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, রাজু আহম্মেদ, আনিছুর রহমান, মহসীন হাসান ও পারভেজ হোসেন। আসামিদের মধ্যে পারভেজ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান।
অপরদিকে জামায়াত নেতাদের পক্ষে কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, আটকদের মধ্যে পারভেজ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। নেতাকর্মীরা একজন আইনজীবীর কাছে যেতেই পারেন। এখানে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল না। ওই চেম্বার থেকে মাসুমের তিনজন জুনিয়রকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও তাকে ছাড়া হয়নি। মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। তাই তাদের রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেওয়া হোক।
শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান বিচারক। একইসঙ্গে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের যেকোনো দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার রাতে নাশকতার জন্য বৈঠকের সময় ১৬ জামায়াত নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। এই ঘটনায় যাচাই-বাছাই করে ১২ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে বলেন, যাচাই-বাছাই করে ১২ জন জামায়াত নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
কেআই/এএটি