মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলেন, গোলাম মোস্তফা ও তার চাচাতো ভাই আজিজুল বাওয়ানী।
গত বছর ৭ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর ডেমরার ‘নাসিমা ভিলা’র মোস্তফার ঘর থেকে শিশু নুসরাত জাহান (৪) ও ফারিয়া আক্তার দোলার (৫) মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে ওইদিন দুপুর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।
এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিহত নুসরাতের বাবা পলাশ হাওলাদার বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা ও তার চাচাতো ভাই আজিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর মামলাটি তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি এবং বিচার শুরু হয়।
হত্যকাণ্ডের পর পুলিশ জানায়, নুসরাত জাহান ও ফারিয়া আক্তার দোলা নামে শিশু দুটিকে বাসায় নিয়ে বিভিন্ন প্রসাধনী দিয়ে সাজানো হয়। তার আগে মোস্তফা ও আজিজুল ইয়াবা সেবন করে এবং ঘরের মধ্যে ক্যাসেট প্লেয়ার চালিয়ে দেয়। প্রসাধনী দিয়ে সাজানোর পর শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা।
এ সময় ফারিয়া আক্তার দোলা চিৎকার করলে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা নুসরাত দেখে ফেললে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় আজিজুল।
পরে মোস্তফার স্ত্রী বাসায় ফিরলে ঘরের মধ্যে শিশুদের জুতা দেখতে পান এবং মোস্তফা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। তখন স্ত্রীর কাছে দুই শিশুকে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে মোস্তফা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
কেআই/এমএ