মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। গেজেট প্রকাশের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
ওই আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
এর আগে মোট চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের কর্মকর্তা। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এ দুজনই কারাগারে আছেন।
বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে গত ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সেই পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে বলা হয়, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি। এরপর আদালত তাদের বরাবরে গেজেট জারির আদেশ দেন।
এদিকে মাহবুবুল হাসানের পক্ষে এদিন জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এরপর ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। সেই মামলাটি বিচারের জন্য চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
কেআই/জেডএস