ঢাকা: গণমাধ্যমে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন নির্যাতনের ভিকটিমদের পরিচয় প্রকাশ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, চলচ্চিত্র এবং প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিচয় বলতে ভিকটিমের মূল নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, কর্মস্থলের নাম—এমন তথ্য যেটিতে পরিচয় প্রকাশ পায় তা বোঝাবে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৮ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের লিখিত অনুলিপি ২৫ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে।
আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আদালতে জানাতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে ভিকটিমের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করা সংক্রান্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আইনের ১৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদ পত্রে বা অন্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে, যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। ”
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। ”
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ বিষয়ে রিট করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুননি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আগামী ৩ মে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
ইএস/এমজেএফ