ঢাকা: হাতিরঝিল থানার মামলায় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহানসহ সাতজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন- তরিকুল ইসলাম, আল-আমিন সোহেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাস সিকদার, আমিরুল ইসলাম এবং পলক মন্ডল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষে সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। মাঠে, ঘাটে কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। কাজ করার সময় যশোর এবং নড়াইল থেকে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কাউকে ৭ দিন, আবার কাউকে ১৫ দিন আগেও গ্রেফতার করেছে। অনেক দিন তারা থানায় ছিল। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তাই প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোরের শার্শা থেকে আল-আমিন, সাইফুল, আমিরুলকে, বেনাপোল থেকে নদী আক্তার, পলক মন্ডল, তরিকুলকে এবং নড়াইল থেকে বিনাস সিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পাচারের উদ্দেশ্যে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তের এক বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করতো চক্রটি। পাচার হওয়া প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নিতেন। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আনতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
কেআই/ওএইচ/