ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৫ লাখ টাকা করে পেলো বাঁশাখালীতে নিহত শ্রমিকের পরিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
৫ লাখ টাকা করে পেলো বাঁশাখালীতে নিহত শ্রমিকের পরিবার

ঢাকা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনার নিহত সাতজনের পরিবারকে দুই দফায় (৩ লাখ ও ২ লাখ) মোট ৫ লাখ টাকা করে দিয়েছে এস আলম গ্রুপের এস এস পাওয়ার লিমিটেড।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের অনুলিপি অ্যাটর্নি জেনারেল ও রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিনকে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এবং পরে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজন নিহত হন। আহত হয় অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ ও ২৮ এপ্রিল ৬টি মানবাধিকার সংগঠন করা পৃথক রিট আবেদন করে। ছয়টি সংগঠন হলো—আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।

রিটের শুনানি নিয়ে ৪ মে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন। তখন তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

এ আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় এস এস পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটি আইনজীবী মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এ প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান।

এদিকে ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) নেতৃত্বে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত শ্রমিকের পরিবারকে ১৮ এপ্রিল তিন লাখ টাকা করে এবং হাইকোর্টের আদেশের পর ৩১ মে আরও দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

নিহত শ্রমিকরা হলেন—নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের উত্তর আদর্শপাড়ার রায়হান,চুয়াডাঙ্গার জীবননহরের মিনাজপুর গ্রামের মো.রনি, চাঁদপুর সদরের পাশানী গ্রামের মো.শুভ, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের সাহেবনগর গ্রামের মাহমুদুল হাসান রাহাত, স্থানীয় গণ্ডমারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনার মাহমুদ রেজা (মিয়া খান), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কড়ইতলা গ্রামের সারওয়ার হক শিমুল ও দিনাজপুরের বিরামপুরের চাঁদপুর গ্রামের রাজিউল ইসলাম (রেজা মন্ডল)।

আহত ১৬ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট আট লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আহত একজনকে ৫০ হাজার টাকার বাইরেও চিকিৎসা খরচ হিসেবে আড়াই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।