ঢাকা: সালিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করায় ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত থাকছে।
তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (২২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৭ জুলাই তার করা এক ভার্চ্যুয়াল রিটের শুনানি নিয়ে ৩০ দিন বা রেগুলার কোর্ট খোলা হওয়া পর্যন্ত বরাখাস্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এখন নিয়মিত রিট করার পর রোববার হাইকোর্ট রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
গত ২৮ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে।
আদেশে বলা হয়, সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোসা. নাজনিন আক্তার নামে এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা পত্রপ্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ জুন ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। ওই কিশোরী ও স্থানীয় এক যুবকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিশোরীর বাবা বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সালিশ ডেকে নিজের পছন্দ হওয়ায় কিশোরীকে বিয়ে করেন। একদিন পর ওই কিশোরী নিজেই চেয়ারম্যানকে তালাক দেন। বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা পরিণত হয়।
পরে ২৭ জুন বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আসার পর তা তদন্তের নির্দেশ দেন। পটুয়াখালীর ডিসি, পিবিআই ও জেলা রেজিস্ট্রারকে আলাদা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
ইএস/এএটি