ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শেরপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের ৪৪ বছর কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
শেরপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের ৪৪ বছর কারাদণ্ড

শেরপুর: শেরপুরে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় বাবুল ওরফে বাবুল কবিরাজ (৩১) নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।  

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

বাবুল সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত তৈমদ্দিনের ছেলে। আসামির ৪৪ বছরের কারাদণ্ডের মধ্যে অপহরণের দায়ে সংশ্লিষ্ট আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন (৩০) বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল সদর উপজেলার চরশেরপুর সাতানিপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের কন্যা ও স্থানীয় দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৩) ফুসলিয়ে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাবুল কবিরাজ। পরে তাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটক রেখে বিয়ের প্রলোভনে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করলে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ওই কিশোরীকে নিয়ে এলাকায় ফিরে গাঁ ঢাকা দেন বাবুল। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক বাবুলসহ ৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ধর্ষক বাবুল। এর কিছুদিন পর ওই কিশোরীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান এবং ডিএনএ টেস্টেও প্রতীয়মান হয়, ওই সন্তানের পিতা বাবুল। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে ১২ নভেম্বর একমাত্র বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় এবং বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিমসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৭ জন ও আসামিপক্ষের দুইজন সাফাই সাক্ষীসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার বিকেলে দুটি ধারায় মোট ৪৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা হিসেবে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় সাপেক্ষে ওই শিশুর ভরণ-পোষণে আইনানুগ আদেশ দেন ট্রাইবুন্যাল। তবে উভয় সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াতউল্লাহ তারা বলেন, রায়ে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। কাজেই আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।