ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাচারি বাড়ির জমি দখল, ৪১ বছর পর মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
কাচারি বাড়ির জমি দখল, ৪১ বছর পর মামলা

যশোর:  যশোরের শার্শা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি বাড়ির সরকারি জমি ৪১ বছর আগে গোপনে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগে আটজনের  নামে মামলা করেছেন জেলা প্রশাসক।
 
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনের পক্ষে যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী বাহাউদ্দিন ইকবাল ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দাখিল করেন।

 

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- শার্শার মোড়লপাড়ার ফজলুর রহমানের পাঁচ সন্তান জসিম উদ্দিন, করিম হোসেন মনির হোসেন, ইমাম হোসেন, শাহিনা খাতুন, নুরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন, ফজলুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও মমতাজ বেগম।

সূত্র মতে, উপজেলার ৭২ নম্বর শার্শার মৌজার সাবেক ১২৫৫ দাগের ৩৫ শতক সরকারি জমি ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রথমে একসনা বন্দোবস্ত নেন। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৬৩ শতক (প্রায় এক বিঘা) জমি ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিজ নামে রেকর্ড করে নেন ফজলুর রহমান। প্রথম দিকে বিষয়টি গোপন থাকলেও তার মৃত্যুর পর ছেলে কবির হোসেন, জসিম উদ্দিন, মনির হোসেন ও ইমাম হোসেন সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করে প্রকাশ্যে দখলে নেন।  

এদিকে সরকারি ওই জমি কীভাবে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হলো, তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসনও। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বরে তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, কাচারি বাড়ির বাস্তু শ্রেণির জমিটি কালেক্টরেট যশোরের নামে। কাচারি বাড়ির জমি ধানী হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ফজলুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার সন্তানদের নামে ওই জমি রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে খোরশেদ আলম চৌধুরী জেলা প্রশাসককে অবহিত করে চিঠি লেখেন। এরপর যশোর জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে এলএসটি মামলা করার জন্য সরকারের পিপিকে চিঠি দেওয়া হয়।
যশোর আদালতের পিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল জানান, চিঠি পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন যে সরকারের কাচারি বাড়ির সম্পত্তি জাল দলিল করা হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, শার্শা মৌজার প্রিন্ট পর্চার রেকর্ড প্রকাশিত হলেও গেজেট বের হতে দেরি হয়। যে কারণে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতেও বিলম্ব হয়। বৃহস্পতিবার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আটজনের নামে মামলা করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
ইউজি/এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।