ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ট্রাইব্যুনালের নতুন সদস্যের যোগদান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
ট্রাইব্যুনালের নতুন সদস্যের যোগদান

ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম রোববার (১৭ অক্টোবর) যোগ দিয়েছেন।

এর মধ্য দিয়ে স্থিমিত হয়ে পড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ ফের সচল হলো।

এদিন তিন চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদ্স্যের ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ও শুনানির তারিখ নির্ধারণসহ বিভিন্ন আদেশ হয়েছে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা জজ) সাঈদ আহমেদ।  

এর আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপন জারি করে।  

ড. কে এম হাফিজুল আলম ২০০২ সালের ২৯ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে, ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।  

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন।  

চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের সদস্য ছিলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।  

এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন গত ২৪ আগস্ট ইন্তেকাল করেন।  

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ১১টি মামলার রায় দেওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-২ কে একীভূত করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  

এ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর প্রথম রায় আসে তিন বছর পর ২০১৩ সালে। ওই বছরের ২১ জানুয়ারিতে প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে ‘বাচ্চু রাজাকার’কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর একে একে শীর্ষ মানবতাবিরোধীর অপরাধীর রায় হয় ট্রাইব্যুনালে। এই ১১ বছরের ৪২টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ৪২ রায়ের মধ্যে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ছয় আসামির। আর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ডের দুই আসামির রায় পুর্নবিবেচনার আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।  ৪২ মামলায় খালাস পেয়েছেন মাত্র একজন আসামি। তিনি হলেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের তোলালী গ্রামের মৃত হোসেন আলী মীর ওরফে হোসেন মুন্সীর ছেলে মো. আব্দুল লতিফ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।