ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লালবাগ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
এ দিন আইনজীবী জোবায়ের আহমেদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আলী আকবার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়ার আগে হাসান আল মামুন জানান, এই মামলায় আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। আমি এ দেশের মানুষের কাছে এবং আদালতের কাছে পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।
গত ১৩ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নেন। এরপর ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্যদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
গত ৩ অক্টোবর নুরের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক ফরিদা পারভীন।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আরও পাঁচজনকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়।
গত ১৭ জুন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হাসান আল মামুন ছাড়া বাকি পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য বদলি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২১
কেআই/এমজেএফ