ঢাকা: রংপুরে আটক ব্যক্তির শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে খোঁজ-খবর জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার (এসপি) কাছ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত এ বিষয়ে বুধবার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইন কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশ কর্তৃক তাজুল ইসলামকে পিটিয়ে মারার বিষয়ে সংবাদপত্রের রিপোর্ট উচ্চ আদালতের নজরে আনা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে পুরো বিষয়ে খবর নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল আদেশ দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (০১ নভেম্বর) এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করেন। মৃত্যুবরণ করা তাজুল ইসলাম (৫০) কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের দালালহাট নয়াটারীর মৃত শওকত আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় হারাগাছ থানার পুলিশ নতুনবাজার বছির বানিয়ার তেপতি নামক স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদকসেবী সন্দেহে তাজুলকে আটক করে। ‘নির্যাতনের’ এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, তাজুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ‘হত্যার বিচার দাবি’ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। থানা ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে রাখা একটি পুলিশ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে থানা ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, আটক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি। তার বয়স বেশি ছিল। পা দিয়ে চাপ দিয়ে হাতকড়া ভাঙার চেষ্টা করায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২১
ইএস/এমজেএফ