ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পুলিশি নির্যাতনে ‘মৃত্যু’, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
পুলিশি নির্যাতনে ‘মৃত্যু’, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ 

ঢাকা: রংপুরে আটক ব্যক্তি পুলিশের নির্যাতনে নিহতের অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

১১ নভেম্বর মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর বুধবার (৩ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রংপুরের অতিরিক্ত কমিশনার নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এরপর আদালত ওই তদন্ত প্রতিবেদন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ১১ নভেম্বরের মধ্যে দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ নভেম্বর দিন রেখেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।

বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত জানান, ই-মেইলে রংপুর থেকে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।  

এর আগে সোমবার (১ নভেম্বর) এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করেন। মৃত্যুবরণ করা তাজুল ইসলাম (৫০) কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের দালালহাট নয়াটারীর মৃত শওকত আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় হারাগাছ থানার পুলিশ নতুনবাজার বছির বানিয়ার তেপতি নামক স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদকসেবী সন্দেহে তাজুলকে আটক করে। ‘নির্যাতনের’ এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তার নিহত হন তিনি। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

জানা গেছে, তাজুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে হত্যার বিচারের দাবিতে থানা ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে রাখা একটি পুলিশ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে থানা ভবনের ভেতরে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, আটক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি। তার বয়স বেশি ছিল। পা দিয়ে চাপ দিয়ে হাতকড়া ভাঙার চেষ্টা করায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: 
পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১ 
ইএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।