ঢাকা: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
তবে তিথির স্বামী শিপলু মল্লিককে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১৮ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায় সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত পা-বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
গত ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান তিথি ও তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
গত বছর ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বছর ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২১
কেআই/আরবি
