ঢাকা: সাভারের বিলবাগিল, বিলধলাই ও বিলপাকুরিয়ার জলাশয় দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জলাশয়গুলোতে দূষণের অবস্থা নির্ণয় এবং দূষণ প্রতিরোধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদনও আদালতে জমা দিতে হবে।
ছয় মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালককে।
ওই তিন জলাশয়সহ কোনাপাড়া খালরক্ষায় জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১১ সালে ওই রিট আবেদনটি করেছিল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
বেলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
পরে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর জানান, সাভার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ২০ গ্রামে প্রবাহিত ৩টি বিল (বাগিল, ধলাই, পাকুরিয়া) ও কোনাপাড়া খাল ৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ ও দখলের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে বেলা একটি জনস্বার্থমূলক মামলা করে। মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট জলাশয়গুলোকে বিষাক্ত শিল্পবর্জ্য থেকে রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জলাশয়গুলোকে দূষণমুক্ত করে মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে রুলটি চূড়ান্ত ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার রায় দেন আদালত। রায়ে ছয় মাসের মধ্যে জলাশয়গুলোতে দূষণের অবস্থা নির্ণয়, জলাশয়গুলো দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা এবং দূষণ প্রতিরোধে নেওয়া সম্পর্কিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক, মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ইএস/এমজেএফ