ঢাকা: রাজধানীর বনানীর রেইন্ট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় ধর্ষণের কোনো আলামত না থাকার পরও চার্জশিট দাখিল করে আদালতের সময় নষ্ট করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাই এমন প্রতিবেদন দেওয়ায় আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রায়ের পর্যবেক্ষণে তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেন।
আদালত বলেন, একটা পার্টিতে অংশ নিয়ে ইচ্ছাকৃত শয্যাসঙ্গী হলেন, তার ৩৪ দিন পর মামলা হলো এবং ৩৮ দিন পর মেডিক্যাল হলো। মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই তরুণীর বয়স ২২/২৩ বছর, তারা নিয়মিত যৌনসম্পর্ক করতেন।
সাক্ষী ও জবানবন্দিতেও তারা নিজেদের অবিবাহিত দাবি করলেও শারীরিক সম্পর্কের বিষয় উঠে আসে। ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই, আলামত নেই, তরুণীদের কাপড়ে কোনো পুরুষের সিমেন্স পাওয়া যায়নি। তথাপি চার্জশিট দিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠানো হয়েছে। মোট ৯৪ কার্যদিবসের বিচারে আদালতের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। যে কারণে প্রকৃত ধর্ষণের মামলার বিচার ব্যাহত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতের এই সময় নষ্ট করেছেন।
এরপর আদালত সাফাতসহ পাঁচ আসামিকেই খালাস দেন। মামলার অপর চার আসামি হলেন- সাফাত আহমেদের তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
কেআই/আরআইএস