ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনার পরিবর্তে অন্য উপজেলায় বদলি হওয়া বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন উপজেলার ৩৭ শিক্ষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনার পরিবর্তে অন্য উপজেলায় বদলিকৃত বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রিট আবেদনকারীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য তৈরি গ্রেডেশন তালিকায় তাদের নাম কেন অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)সহ সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সম্প্রতি সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে জ্যেষ্ঠতার তালিকা (গ্রেডেশন লিস্ট) চূড়ান্তকরণের কাজ হাতে নিয়েছে। শিক্ষকদের গত মাস থেকে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। আপনি বহিরাগত শিক্ষক কিনা, কবে থেকে, কবে এ উপজেলা/থানায় যোগ দিয়েছেন—সেখানে এরকম প্রশ্ন রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয় উপজেলাভিত্তিক। নিজ উপজেলার বাইরে অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষককে ‘বহিরাগত শিক্ষক’ বলা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনে। অর্থাৎ বদলিকৃত শিক্ষকদের সবশেষ যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করা হয়। তবে ২০১৯ সালের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালায় কোথাও বলা নেই যে, বদলি হলে আগের অভিজ্ঞতা গণনা করা হবে না। এ কারণে ৩৭ জন শিক্ষক এ রিট করেন বলে জানান ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
ইএস/এমজেএফ