ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানা মসজিদের ইমাম হাফেজ মওলানা মো. ইসহাক হত্যা মামলায় আসামি কাজী বায়েজিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার তার আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে তাকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদয়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মো. ইসহাককে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। পত্রিকার মাধ্যমে এক অজ্ঞাতনামা লাশের খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ইসহাকের লাশ শনাক্ত করেন ভাই শুয়াইব। পরে তিনি এ ঘটনায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেদন পেশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লবণ কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে আসামি আবদুর রহিমের সঙ্গে ইসহাকের বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আসামি ইকরাম, মুরাদসহ অন্য আসামিরা ইসহাককে অপহরণ করে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে।
এরপর ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোতাহার হোসেন আবদুর রহিম সরদার (৪৩), কাজী বায়েজিদ (৪২), ইকবাল ওরফে মাসুদ (৪৫) ও মুরাদ হোসেনকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড এবং মো. নাজিমুদ্দিনকে (৪০) যাবজ্জীবন দণ্ড দেন ।
আপিলের পর হাইকোর্ট ২০১৩ সলের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দুই আসামিকে খালাস দেন । মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হচ্ছেন, কাজী বায়েজিদ, ইকরাম খান ও মুরাদ হোসেন। খালাস পাওয়া দুইজন হলেন, আবদুর রহিম সরদার ও মো.নাজিম উদ্দিন।
এর বিরুদ্ধে আপিল করেন বায়েজিদ। তার আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন আপিল বিভাগ। তবে অন্য দুই আসামির আপিলের বিষয়ে জানা যায়নি।
রমনার ইমাম হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
ইএস/এসআইএস