শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের দায়ে মাসুদ বেপারী (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মাসুদ জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস বেপারীর ছেলে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় দেন। এ সময় আদালতের এজলাসে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেলে মাসুদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পূর্ব পরিচিত ওই কলেজছাত্রীকে বাড়িতে আসতে বলেন। ওই মেয়ে কাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাসুদের বাড়িতে যান। সেখানে মাসুদের পরিবারের কাউকে না দেখে মেয়েটি ফিরে আসার চেষ্টা করেন। তখন মাসুদ তাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মেয়েটি মাসুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে ওই মহল্লার কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করেন। পরের দিন জাজিরা থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রী। ১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে মাসুদ বেপারীকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসুদ বেপারী ও শরীফ সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালত ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ১৩ জন সাক্ষী এবং আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় মাসুদকে এ দণ্ড দেন আদালত। তবে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অপর আসামি শরীফ সরদারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, মাসুদকে যাবজ্জীবন ও শরীফ সরদারকে বেকসুর খালাস দেওয়ায় আমি খুশি হতে পারিনি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান (নজরুল) বলেন, আসামিপক্ষ সংশ্লিষ্ট মামলার রায়ে সংক্ষুব্ধ ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের বিপক্ষে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এসআই