ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ১৫ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ১৫ খাবার ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আপনার প্রথমেই জানা থাকা উচিত কোন কোন খাবার তা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শুধু তাই নয়, এ খাবারগুলো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকরী ১৫টি খাবার সম্পর্কে:

বাদাম দেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। বাদামে এক ধরনের ফ্যাট থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। অন্যান্য বাদামের তুলনায় কাজুবাদামের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।

মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ নামক এক প্রকার স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিদ্যমান। এতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়া এটি আয়রনেরও আদর্শ উৎস। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তা খুবই কার্যকরী। সূর্যমুখীর বীজও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

মাছ আমিষের একটি আদর্শ উৎস। মাছেও মিষ্টি কুমড়ার বীজের মতো ওমেগা-৩ বিদ্যমান। মাছ ভেজে খাওয়ার চেয়ে গ্রিল করে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বেরি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি ফল। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেরি দেহের ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্লু-বেরিকে প্রকৃতির সুপার ফুডও বলা হয়।

তন্তু বা আঁশযুক্ত খাবার দেহের খাদ্য ভারসাম্যের জন্য খুবই দরকারি। বিভিন্ন ধরনের শস্যদানায় এ উপাদান বিদ্যমান। এসবের মধ্যে মটরশুঁটি আদর্শ। রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাপ্তাহিক নিয়মে তা গ্রহণ করা উচিত।

ব্রোকলিকে বলা হয় ডায়াবেটিসের জন্য আদর্শ সবজি। এর কিছু বিশেষ পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্রোকলি হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রাখে। এটি ভিটামিন-সি’য়ের আদর্শ উৎস।

পুষ্টিগুণের দিক থেকে বাঁধাকপির কোনো তুলনা নেই। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। টাইপ-১ এর ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। বাঁধাকপি ভালোমতো ধুয়ে কাঁচা বা অর্ধ-সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়া ভালো।

গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাভোকাডো নারীদের ক্ষেত্রে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রবণতা ২৫ শতাংশ কমায়। হৃদযন্ত্রের জন্যও তা খুবই উপকারী। দৈনন্দিন খাবার গ্রহণের পর এ ফল খেলে তা ব্লাড সুগার পরিমিত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

চা দেহের অবসাদ দূর করে। দেহের অভ্যন্তরের বিষাক্ত পদার্থ বিনাশেও তা কাজ করে। প্রতিদিন নিয়মিত গ্রিন-টি অথবা র-টি খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, এমনকি তা ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক।

শতমূলী টাইপ-২ ডায়াবেটিস ছাড়াও আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তাছাড়া দেহের ইনসুলিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে এ সবজি।

মিষ্টিজাতীয় খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে দারুচিনি খুবই কার্যকরী। দারুচিনি ক্ষুধার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি দেহের ব্লাড সুগারের পরিমাণও কমাতে সহায়ক।

অলিভ ওয়েল বা জলপাই তেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিদ্যমান। এটি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য অর্জনে সহায়ক।

সাধারণ আলু ডায়াবেটিসের জন্য ভালো নয়। তবে মিষ্টি আলু ব্যতিক্রম। এটি ইনসুলিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।

ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষজ্ঞরা স্পিনাচ খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ভিটামিনে ভরপুর এ সবজি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।