ঈদ মানেই নতুন পোশাক, জুতা ও অ্যাক্সেসরিজ কেনার ধুম। তবে অনেক সময় আমরা অপ্রয়োজনীয় খরচ করে ফেলি বা বাজেটের কথা মাথায় না রেখে শপিং করি, যা সহজেই ভারসাম্য করা সম্ভব।
* শপিংয়ের আগে পরিকল্পনা করুন
যা যা কিনবেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। বাজেট নির্ধারণ করে নিন এবং সেটার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন উৎস/দোকান থেকে পণ্যের দাম যাচাই করুন।
* মানের সঙ্গে আপস করবেন না
অনেক সময় কম দামের কারণে নিম্নমানের পণ্য কিনে ফেলি, যা পরে টেকসই হয় না। বিশেষ করে জুতা বা পোশাকের ক্ষেত্রে গুণগত মানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন। ভালো মানের জুতা যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তেমনি ঈদের দিন আরামেরও নিশ্চয়তা দেয়।
* ট্রেন্ডি নাকি ক্লাসিক—কোনোটি বেছে নেবেন?
ট্রেন্ডি পোশাক ও জুতা আকর্ষণীয় হলেও, সেগুলো দ্রুত ফ্যাশনের বাইরে চলে যেতে পারে। ক্লাসিক ডিজাইন বেছে নিলে তা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। নিজের স্টাইলের সঙ্গে মানানসই পোশাক ও জুতা বেছে নিন।
* জুতা কেনার সঠিক কৌশল
দীর্ঘ সময় হাঁটতে পারবেন এমন আরামদায়ক জুতা কিনুন। হালকা ওজনের, অপিচ্ছিল, ভারসাম্য বজায় রাখা শক শোষণকারী সোল এবং আরামদায়ক উপকরণের দিকে মনোযোগ দিন। লেদার বা সেমি-ফরমাল লোফার দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং ঈদ ছাড়াও ব্যবহার করা যায়।
* ডিসকাউন্ট ও অফারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন
ঈদ উপলক্ষে অনেক ব্র্যান্ড বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে, সেগুলো অনুসরণ করুন। অনলাইন স্টোর ও শপিংমলের ডিসকাউন্ট ক্যাম্পেইন সম্পর্কে খোঁজ রাখুন। বান্ডেল অফার থাকলে তা ব্যবহার করুন, যেমন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতার বিশেষ ছাড়।
* ইমপালস শপিং থেকে বিরত থাকুন
আগে থেকে ঠিক না করে হুট করে কোনো কিছু কিনবেন না। শুধু ডিসকাউন্ট দেখে নয়, প্রয়োজন বিবেচনা করে কেনাকাটা করুন। শপিংয়ে যাওয়ার আগে বাজেট ও তালিকা মেনে চলার মানসিক প্রস্তূতি নিন।
* পরিবার ও বাচ্চাদের শপিংয়ের বিশেষ যত্ন
পরিবারের সবার পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। ছোটদের আরামদায়ক পোশাক ও জুতা বেছে নিন, যাতে তারা সহজে চলাফেরা করতে পারে। পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের জন্যও আরামদায়ক ও ব্যবহার উপযোগী কিছু কিনুন।
সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেটের মধ্যে থেকেই ঈদ শপিং করলে আনন্দ যেমন দ্বিগুণ হবে, তেমনি ভবিষ্যতে আর্থিক চাপেও পড়তে হবে না। এবার ঈদের কেনাকাটা হোক স্টাইলিশ, অথচ স্মার্ট ও সাশ্রয়ী!
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
এএটি