সিক্স প্যাক ফিগার, ওজন নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস-স্ট্রেসের মতো শারীরিক-মানসিক সমস্যা বা সেক্সলাইফ-সব কিছুর জন্য প্রথম প্রয়োজন ফিট থাকা। আর ফিট থাকতে করা চাই নিয়মিত ব্যায়াম।
যারা নতুন করে ব্যায়াম শুরু করছেন, প্রথমে কয়েক সপ্তাহ সকালে, এরপর বিকেলে তারপর সন্ধ্যায় এভাবে ব্যায়াম করুন। লক্ষ্য করুন, যে সময়ে ব্যায়াম করতে আপনার সবচেয়ে ভালো লাগবে, সেই সময়টিই বেছে নিন। চাইলে ব্যায়ামের সময়গুলো ভাগ করে নিতে পারেন এভাবে:
সকাল
অনেকে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই ব্যায়াম শুরু করেন। তবে এ সময় ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ এক্সারসাইজের জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে এনার্জি থাকা প্রয়োজন সময়ের অভাব থাকলে ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টা পর হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়ার্ক করুন।
বিকেল
ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে দুপুরের পর বিকেলে। মানে ঘুম থেকে ওঠার ছয় ঘণ্টা পর এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে। যাদের ভারী এক্সারসাইজের পরিকল্পনা রয়েছে তারা দিনের বেলার যে কোনো একটি সময় বেছে নিন। লাঞ্চ করার পর বসে না থেকে হালকা হাঁটুন।
সন্ধ্যাবেলা
বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা পথ হেঁটেই আসুন। হাঁটার সময় খেয়াল রাখবেন যেন ১০ মিনিটে এক কিলোমিটার পথ যেতে পারেন। সন্ধ্যায় এক্সারসাইজ করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সারসাইজ করার আগে রিল্যাক্স করুন। যাতে এক্সারসাইজ করার সময় ক্লান্তভাব না থাকে।
যোগব্যায়াম করার জন্য সন্ধ্যা সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এসময় আপনি ট্রেডমিল বা সাইক্লিংও করতে পারেন।
মনে রাখবেন, কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না। ভারী ব্যায়াম বা অন্য কিছুই করতে না পারলে, সঙ্গীকে নিয়ে দিনে ৩০ মিনিট হাঁটুন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক হালকা এবং সুস্থ বোধ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
এএটি