ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান ০৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০১০

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১০


এটিএন বাংলা

রাত ৮টায় ॥ ধারাবাহিক নাটক : মাধবী ভিলা (৬ষ্ঠ পর্ব) ॥ ডঃ নীহার রঞ্জন গুপ্ত’র উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটির কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ রচনা করেছেন শক্তি পদ রাজগুরু। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন প্রসূন বিশ্বাস (মিঠু) ॥ অভিনয় করেছেন রামেন্দু মজুমদার, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, সরকার ফিরোজ, চিত্রলেখা গুহ, চ্যালেঞ্জার, অরুনা বিশ্বাস, জাহিদ হোসেন, শোভন, শোয়েব, হিলোল, মৌসুমী বিশ্বাস, গাজী রাকায়েত, সাজ্জাদ রেজা, মিষ্টি,  মুক্তি প্রমূখ ॥ গল্প : মৃগাঙ্গ ও মহীতোষ দু’জন অভিন্ন হৃদয় বন্ধু এবং দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার।

মৃগাঙ্গ বাবু’র ছোট একটি কারখানা ছিলো যার নাম ডায়মন্ড। স্বপ্নে গড়া এই কারখানাকে সে চেয়েছিল দেশের সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসংস্থান হিসেবে রুপ দিতে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মৃগাঙ্গ বাবু হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করে। রেখে যায় বিধবা স্ত্রী সাবিত্রী আর একটি মাত্র সন্তান শ্বাশতকে। মৃগাঙ্গ বাবু’র বন্ধু মহীতোষ কোম্পানীর ব্যাংক লোন মাথায় নিয়ে যখন কিংকর্তব্যবিমুঢ়, ঠিক তখনই আবির্ভাব ঘঠে তার পূরোনো বন্ধু উকিল মহেন্দ্র’র। শুরু হলো নতুন নাটকীয়তা।

চ্যানেল আই

রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ রিয়েলিটি শো :চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’১০ ॥ এতে দেখানো হবে যারা ক্যাম্প রাউন্ডে স্থান পেয়েছে তাদের নিয়ে নির্মিত একটি পর্ব ॥ এ রাউন্ডে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, শাম্মী আখতার ও আবিদা সুলতানা। সিথি সাহার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন তাহের শিপন।

রাত ১১টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক: অল আউট। সুমন সরকার রচিত এ ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন হাছিবুল ইসলাম মিজান ॥ অভিনয় করেছেন সিমু, মুক্তি, সুমনা সোমা, লোপা, জয়, জাহিদ হাসান, ডলি জহুর ও আবুল হায়াত।

বাংলাভিশন

রাত ৯টা ০৫ মিনিট ॥ টক শো :পরম্পরা ॥ দেওয়ান শামসুর রকিবের পরিকল্পনা ও অনন্ত জাহিদের প্রযোজনায় এ অনুষ্ঠানে। মিডিয়া জগতের প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় তারকা বাবা-মা মুখোমুখি হচ্ছেন তাদের সন্তানদের। এই সন্তানরাও মিডিয়ার পরিচিত মুখ। পারিবারিক আবহে এবং গল্পবলার ছলে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে জানা যাবে অজানা তথ্য । বাংলাভিশনের ব্যতিক্রমধর্মী টক শো ‘পরম্পরা’র এবারের পর্বে অংশ নিয়েছেন আলম খান ও আরমান খান, সম্পর্কে তারা পিতা ও পুত্র।

একুশে টিভি

রাত ০৯টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : জহুর আলী জহুরি ॥। খলিলুর রহমান শাওনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন  কায়সার আহমেদ ॥ অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, ডলি জহুর, আনিসুর রহমান মিলন, লিটু আনাম, আজিজুল হাকিম, কুসুম শিকদার, বিন্দু, খ.ম. হাসান, আব্দুল রাতিন, মোমেনা চেীধুরী, শামীম সহ অনেকে ॥ গল্প : ঢাকার অধিবাসী জহুর আলী একজন পেশাদার জহুরি। একটি জুয়েলারীতে তিনি কাজ করেন। স্বর্ণ ও পাথর পরীা করার পাশাপাশি তিনি হস্তরেখা দেখে ভাগ্য পরীা করেন এবং বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে পাথর বিক্রি করেন। জহুর আলীর তিন মেয়ে। তারা হলেন হীরা, চুন্নী এবং পান্না। হীরাকে বড় আশা করে বিয়ে দিয়েছিলো সহজ সরল যুবক রজব ওস্তাগারের সাথে। কিন্তু স্বামীর ভালোবাসা থাকা সত্বেও হীরা বেশি দিন স্বামীর ঘর করতে পারেনি। ননদ চানবানুর ষ^ড়যন্ত্রে বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে হয় তাকে। চানবানু প্রতি নিয়ত চাপ দেয় হীরাকে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করতে। কিন্তু রজব রাজী হয় না। একসাথে না থাকতে পারলেও স্ত্রীর সাথে তার অটুট ভালোবাসা আছে। জহুর আলীর বিশ্বাস তার পাথরের কারণে হীরার বিয়ে এখনও টিকে আছে। তিনি আশা করেন পাথরের কল্যাণে একদিন হীরা তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।

রাত ১০ টা ১০ মিনিট ॥ বিনোদন মুলক টক শো : গল্প সল্প গান ॥ ফওজিয়া এরিনার উপস্থাপনায় ষ্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে থাকে দর্শকদের অনুরোধের গান ও প্রতি পর্বে একটি বিষয়ের উপর আলাপচারিতা  । সঙ্গে থাকেন এই সময়ের জনপ্রিয় একজন তারকা অতিথি। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন ফওজিয়া এরিনা ও আশরাফ উজ জামান।

দেশ টিভি

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : শুভ্র ॥হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে এবং নওমী কামরুন বিধু নাট্যরূপে ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন মোশারফ খান বাদল ॥ অভিনয় করেছেন  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডলি জহুর, সালেক খান, এনামুল হক, মম, ইরেশ যাকের, অনি, লারা ও আরো অনেকে ॥ গল্প :শুভ্র পড়া লেখায় অত্যন্ত মেধাবী। কিন্তু জাগতিক বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান তার একেবারেই নেই বললেই চলে। যে কোন সমস্যারই সে সমাধান করে তার পুর্বের আহরিত জ্ঞান দিয়ে। শুভ্রের বাবা মোতাহার সাহেব একজন ব্যবসায়ী এবং মা জাহানারা বেগম গৃহিনী । স্বামী , স্ত্রীর সম্পর্কের  একমাত্র সেতুবন্ধন হচ্ছে ছেলে শুভ্র । এই নরনারীর প্রেম , ভালবাসা, মায়া, রাগ, শাসণ একচ্ছত্রভাবে বর্ষিত হয়েছে শুভ্রের উপর । শুভ্র তার বাবা মায়ের ছত্রছায়ায় বড় হয়েছে অনেকটা পুতুলের মতন । ফলে তার দৃশ্যমান জগৎটা বলতে গেলে নিয়ন্ত্রন  করেছে তার মা । সেখানে শুভ্রর নিজস্ব কোন মতামত ব্যক্ত করার অধিকার বা সাহস কোনটাই ছিল না । কিন্তু এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে তার অরেকটা জগৎ আছে । চশমাটা খুলে ফেললেই সে সেই জগতের বাসিন্দা। শুভ্রের চোখের অবস্থা খুব খারাপ । ছশমা ছাড়া সে কিছুই দেখতে পারে না। সেই জগতের সে একাই বাসিন্দা । তার সেই অন্ধকার ভুবনকে নিয়ন্ত্রন করে তার জ্ঞান, যুক্তি , আবেগ, আর নির্মমতম এক সত্য- আর তা হল এই পৃথিবীর রং, রূপ, আলো, বর্ণ, বৈচিত্র সে আর দেখতে পারবে না  । সে খুব  দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবে । সেই অন্ধকার জগতের এক শুদ্ধতম মানুষ হচ্ছে শুভ্র।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।