ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মঞ্চনাটকের প্রধান চরিত্র রবীন্দ্রনাথ

তোফাজ্জল লিটন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০

বিলেতফেরতা যুবক রবীন্দ্রনাথ। ১৮৮৯ সালে পা রাখলেন বাংলাদেশের শিলাইদহে।

তারপর পতিসর, শাহজাদপুর এবং প্রায় অর্ধযুগ ধরে বাংলার জলহাওয়ায় বসবাস। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা এসব ঘটনাকে ঘিরেই আবর্তিত। রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজি ইন্দিরা দেবীর চরিত্রটিও। সাথে সাথে তৎকালীন বাংলাদেশ তথা শিলাইদহ পতিসর শাহজাদপুরের বিচিত্র মানুষ এবং তাদের জীবন এ নাটকে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই হাত ধরে। রবিঠাকুরের জীবন এবং তার ‘ছিন্নপত্র’ অবলম্বনে এই নতুন মঞ্চনাটকটি লিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক।

‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ নাটকের সময়কাল ধরা হয়েছে ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৫। এ সময়টা রবীন্দ্রনাথের জীবনে সাধনা পর্যায় নামে পরিচিত। এই সময়টাতে তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন, কাছ থেকে দেখেছেন বাংলার মানুষ, একান্ত হয়েছেন বাংলার বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির সঙ্গে। এসবের চমৎকার চিত্র রয়েছে সেই সময়ে রচিত তাঁর বিভিন্ন রচনাকর্মে, বিশেষত ছিন্নপত্রে। মূলত বাংলার যে জল-বায়ু-মাটি-মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রভাবিত করেছিলো, প্রভাবিত করেছিলো তাঁর রচনাকে, এরই প্রামাণ্য তুলে ধরা হয়েছে এই মঞ্চনাটকটিকে।

নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান । নাট্যকার ও নির্দেশক দুজনেই প্রথমবারের মতো একসাথে কাজ করছেন পালাকারের সাথে । এ নাটক মঞ্চায়ন প্রসঙ্গে নাটকের সহ-নির্দেশক এবং ‘পালাকার’  প্রধান আমিনুর রহমান মুকুল বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবর্ষ উপলে আমরা এটি মঞ্চে আনছি। রবীন্দ্রচর্চায় আমরা প্রতিনিয়ত বিকশিত হই। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমাদের এই নিবেদন। ’

নাটকটির আলোক পরিকল্পনা : নাসিরুল হক খোকন, পোশাক পরিকল্পনা : লুসি তৃপ্তি গোমেজ, মঞ্চ ও কোরিওগ্রাফি : অনিকেত পাল বাবু এবং আবহ ও সঙ্গীত পরিকল্পনা : অজয় দাশ ।
নাটকের কারিগরি প্রদর্শনী হবে ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মূল হলে।   প্রযোজনাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে নভেম্বর মাসে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯১৭, অক্টোবর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।