ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ইংরেজদের দালাল জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১

প্রায় দেড়শ বছর আগের কথা। ব্রিটিশ শাসকেরা বাংলার মানুষের উপর নীল চাষের জন্য শুরু করে জুলুম।

নিপীড়িত চাষীরা একসময় বিদ্রোহ করে। ব্রিটিশ শাসকেরা কঠোরভাবে এই বিদ্রোহ দমনের উদ্যোগ নেয়। তাদের সহযোগী হয়ে মাঠে নামে এ দেশেরই কিছু সুবিধাবাদী-দালাল। নীল চাষীদের ঐতিহাসিক বিদ্রোহ নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘নীল’-এ এমনই এক নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

নীল চাষ তদারকির জন্য উনিশ শতকের মধ্যভাগে ইংরেজরা বাংলা অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় নীলকুঠি স্থাপন করে। তেমনি একটি নীলকুঠির কর্মচারী হিসেবে ব্রিটিশদের সহযোগিতায় সর্বদা নিয়োজিত থাকেন গোলকদাস। যিনি ইংরেজ শাসকের প্রতিনিধি ম্যাকগ্রেগরের অত্যন্ত আস্থাভাজন। গোলকদাসের বুদ্ধি ও তৎপরতায় দরিদাহ গ্রামে নেমে আসে নীল অশান্তি। লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও চাষীদের বাধ্য করা হয় নীল চাষে। না শুনলে ঘরের বউদের ধরে নিয়ে যায় গোলকদাস এবং তুলে দেয় ইংরেজদের রঙ্গশালায়। গোলকদাস এতটাই চতুর, রায়তদের ক্ষেপিয়ে তাদের দিয়ে জমিদারকুঠি দখলে এনে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে জমিদারের নায়েবকে। একে একে সবাই আক্রান্ত হতে থাকে গোলকদাসের ষড়যন্ত্রে। ধীরে ধীরে চক্রান্তের নীলনকশা বুনতে থাকে গোলকদাস। যন্ত্রণার আগুনে জ্ব্লতে থাকে দরিদাহ ও অন্যান্য গ্রাম, শুরু হয় বিদ্রোহ। যার নেতৃত্ব থাকেন জমিদারপুত্র গঙ্গানারায়ণ।

ধারাবাহিক নাটকটির নাম ‘নীল’ রচনা করেছেন হাবিব জাকারিয়া উল্লাস, পরিচালনায় রয়েছেন অসীম গোমেজ। নাটকে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের নাম গোলকদাস। নাটকের অন্য চরিত্রে অভিনয় কেেরছেন আনিসুর রহমান মিলন, নাজনীন হাসান চুমকি প্রমুখ। নাটকটি প্রতি শনি ও রোববার এটিএন বাংলায় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩৫০, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।