অস্কারের ৮৩তম আসরে দেখা গেল ব্রিটেনের ইতিহাসভিত্তিক ছবি ‘দ্য কিংস স্পিচ’-এর জয়জয়কার। ধারণা করা হয়েছিল, টম হুপারের এই ছবিটির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ডেভিড ফিনশারের ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’-এর।
যাহোক, সবদিক থেকেই শিঁকে ছিঁড়েছে টমের দিকে। পেয়েছেন সেরা পরিচালকের তকমা। তার ছবিটি পেয়েছে ‘সেরা ছবি’-র খ্যাতি। এই ছবিটি মোট ১২টি বিষয়ে মনোনয়ন পেয়ে এগিয়েছিল অস্কার-যুদ্ধে। তবে পেয়েছে চারটি পুরষ্কার।
সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কারটি ‘ব্ল্যাক সোয়ান’-এর নাটালি পোর্টম্যানের পকেটে গেলেও সেরা অভিনেতার পুরষ্কারটি এসেছে ‘দ্য কিংস স্পিচ’ পরিবারে। এই ছবিটির কলিন ফার্থ হয়েছেন ‘সেরা অভিনেতা’।
ডেভিড সিডলার প্রায় চল্লিশ বছর গবেষণা করেছেন ব্রিটেনের বর্তমান রানী এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও তার পরিবারকে নিয়ে। এই রাজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।
ডেভিডের শৈশব কেটেছে সেই রাজার আমলে। তাই ‘দ্য কিংস স্পিচ’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অনেক যতœ করে। তার সেই প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। পুরষ্কার এসেছে তারও ঝুলিতে। তার কাজটি পেয়েছে ‘সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য’-এর স্বীকৃতি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছবি ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’-এর চিত্রনাট্যটি হয়েছে ‘সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য’।
এবারের আসরে সেরা অ্যানিমেটেড ছবি হয়েছে ‘টয় স্টোরি থ্রি’ এবং বিদেশি ভাষায় সেরা ছবির খ্যাতি পেয়েছে ডেনমার্কের ‘ইন অ্যা বেটার ওয়ার্ল্ড’।
বাংলাদেশ সময় ১৫২৭, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১