বাংলাদেশের গানের এক সংকটময় সময়ে যাত্রা শুরু করেছিল মিউজিক ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআরবি)। কিন্তু মাত্র দেড় বছরেই ভাঙ্গন ধরছে এ সংগঠনের ।
গত কয়েক দিন ধরে অডিও ইন্ডাষ্ট্রি সহ সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিতের এই সরে দাঁড়ানোটা আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমআইবি’র একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এখানে সংগীত প্রেমী কমই আছেন, বেশির ভাগই হলো সংগীত সওদাগর। একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কুমার বিশ্বজিৎ শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন সবসময়। যারা বানিজ্যিক কারণে এমআইবি’কে ব্যবহার করতে চান, তাদের সঙ্গে এখানেই তার মতবিরোধ।
ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও সমস্যা যে অন্য কোথাও তা পরিষ্কার হয়ে যায় কুমার বিশ্বজিৎ-এর সাথে কথা বলে। তিনি এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমি সর্বসম্মতিতেই এমআইবি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কাযক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে কিছুক্ষেত্রে বাঁধার মুখোমুখি হচ্ছি। এতে আমার মনে হয়েছে, সবাই না হলেও দু-এক জন চাননা আমি থাকি। তবে মূল কাঠামো আমি যেভাবে দাঁড় করিয়ে রেখে যাচ্ছি তাতে যে কেউ এসেই চালিয়ে নিতে পারবে। সবার মানসিকতা এক সুতোয় গাঁথা না হলে সংগঠন চলে না।
কুমার বিশ্বজিৎকে অনেকেই অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রত্যাহার করে নিতে। অনেক অনুরোধ থাকা সত্ত্বেও এমআইবিতে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি বাংলানিউজকে জানান।
ভক্তদের জন্য সু-খবর হল, কুমার বিশ্বজিৎ তার নিজের গাওয়া গানের যে চারটি রিমেক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছিলেন। তা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ গানের রেকর্ডিং শেষ হয়েছে। আগামী ঈদের আগেই শ্রোতাদের কাছে অ্যালবামগুলো পৌঁছে যাবে।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, এপ্রিল ২৭, ২০১১