নন্দিত অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু’র জন্মদিন ৩০ এপ্রিল শনিবার। প্রতিবারের মত এবারও পরিবারের সদস্যদের নিয়েই পালন করছেন বিশেষ এ দিনটি।
সুমাইয়া শিমুর সংগে বাংলানিউজ কথা বলে তার জন্মদিনের দুপুরে। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে হাসিমুখে তিনি বললেন, গতরাতে শুটিং শেষ করে ফিরতে ফিরতে একটু রাত হয়ে যায়। রাত ১২টা থেকেই একের পর এক আসতে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ভক্তদের ফোন। আজ সারাটা দিন বাসায়ই কাটাব আর সন্ধায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে কোথাও একসঙ্গে দিনটি সেলিব্রেট করার ইচ্ছে আছে।
বাইরে বলতে ঠিক কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর শিমু সঠিক দিতে পারেননি। পারবেনইবা কি করে? সন্ধ্যে হতে তখনও যে ঢের সময় বাকি। তবে হোটেল ওয়েস্টিন যাবার সম্ভাবনাই বেশি, একথা জানাতে ভুললেন না। সেই সঙ্গে তার এবারের জন্মদিনে পাওয়া বিশেষ উপহার সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্যই দিলেন শিমু। এ বিষয়ে বলেন, অনেক দিন ধরেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশের বাইরে যাবার ইচ্ছে ছিল। সময়ের কারণে এতদিন না হলেও এবার তা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে আমার বড় বোনের সৌজন্যে। মে মাসের ২০ তারিখে আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে দেশের বাইরে যাচ্ছি। আমার বড় বোনের এ উপহারই এবারের জন্মদিনের বিশেষ প্রাপ্তি।
কোথায় যাচ্ছেন এবং কতদিনের আনন্দ ভ্রমণ ? এ প্রশ্নের উত্তরে সুমাইয়া শিমু বললেন, সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়া যাচ্ছি। খুব বেশি সময় পাব না, তবু দু’তিনটা দেশের ব্যাপারতো, আট-দশদিন লেগে যেতে পারে। এছাড়া অন্যসব বছরের জন্মদিনের তুলনায় এবার বিশেষ কোন পার্থক্য নেই এবারের এ বিশেষ দিনে।
জন্মদিন প্রসঙ্গে সুমাইয়া শিমু আরো বললেন, আমি পরিবারের সবার চেয়ে ছোট হওয়ার কারণে এমনিতেই প্রতি জন্মদিনে বিশেষ কিছুর আয়োজন হত । তার উপর আমার জন্মের পর বাবা আর আমার জন্মদিনটা একসঙ্গে পালিত হওয়ায় আনন্দের মাত্রাটা বলে বোঝান যাবে না। সেই সাথে আমার বড় বোনের বিয়েও যখন ৩০ এপ্রিল তখন থেকে রীতিমতো উৎসব লেগে যায় আমাদের বাড়িতে। এমনিতেই আমাদের ছোট্ট পরিবার। আর ছোট্ট একটি পরিবারে একই দিনে যদি তিনজনের বিশেষ দিন, তখন আনন্দের জোয়ারটা সত্যিই বাঁধভাঙ্গা।
জন্মদিনের বিশেষ কোন অনুভুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিমু বলেন, বুঝতে শেখার পর থেকেই তো জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু। কখনো বাসায় বানানো কেক, মায়ের হাতের রান্না সব কিছু যেন অন্য রকম ভালো লাগার গল্প। তবে যত দিন যাচ্ছে বয়স বাড়ছে, সবকিছুই বদলাচ্ছে। আগে যেমন হুটহাট করে অনেক কিছু করে ফেলতাম, এখন আর সে রকমটা হয় না।
বাংলাদেশ সময় ১৮১০, এপ্রিল ৩০, ২০১১