সুস্থ সঙ্গীতের বিকাশের লক্ষে নিয়ে ৭ম বারের মতো শুরু হলো সঙ্গীত নিয়ে দেশের সবচাইতে বড় আয়োজন সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্। বাংলাদেশের গানের জগত যখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল ঠিক সেই সময়টায় দেশের সুস্থ ধারার সঙ্গীতকে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে সিটিসেল এবং চ্যানেল আই-এর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল সিটিসেল চ্যানেল মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্।
প্রতিবারই মতই এবারও চমক থাকছে এই অনুুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে। ৭মবারের এই আয়োজন এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পা রাখছে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে। এবারের সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের মূল থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছরপূর্তি’। স্বাধীনতার ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এবারের আয়োজনে থাকছে বিশেষ কিছু অন্তর্ভূক্তি।
এ উপলক্ষে ১২ জুলাই মঙ্গলবার চ্যানেল আই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ৭ম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ইমরান, সুরদরিয়া এপার ওপার বিউটি দাশ ও ৬ষ্ঠ সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্ বিজয়ী সিথি সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহ্বুব চৌধুরী ও হেড অব মার্কেটিং কমিউনিকেশন্স তাসলিম আহমেদ, চ্যানেল আই, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং ৭ম সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শহিদুল আলম সাচ্চু। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দেশের সঙ্গীত জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব সুধীন দাশ, সোহরাব হোসেন, মোস্তফা জামান আব্বাসী, খালিদ হোসেন, মোঃ খুরশিদ আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, ফরিদা পারভীন, গাজী আবদুল হাকিম, ড. নাশিদ কামাল, লিলি ইসলাম, ড. লীনা তাপসি খান, সুজয় শ্যাম, শাম্মী আখতার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কল্পনা রায়, কিরণ চন্দ রায়, চন্দনা মজুমদার, শেখ সাদী খান, নাদিরা বেগম, , মানাম আহমেদ, সজীব, ইবরার টিপু প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুর রেজা সাগর অসুস্থ শিল্পী আবদুর রহমান বয়াতীর চিকিৎসার্থে এক লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা করেন এবং পাশাপাশি উপস্থিত শিল্পীদের অসুস্থ বয়াতীকে সহযোগিতা দেওয়া কামনা করেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, লোকগীতি, আধুনিক গান, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত, ছায়াছবির গান, ব্যান্ডসঙ্গীত, আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড, গীতিকার, নবাগত গায়ক / গায়িকা, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কাভার ডিজাইন, মিউজিক ডিরেক্টর, মিউজিক ভিডিও ও আজীবন সম্মাননা সহ মোট ১৬টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে এই অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া ১৫টি ক্যাটাগরিতে এসএমএস ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচিতকে প্রদান করা হবে পপুলার অ্যাওয়ার্ডস্।
মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্কে মোট তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। ধাপগুলো হলো - প্রাথমিক পর্বের বাছাই, দ্বিতীয় পর্বের বাছাই এবং চূড়ান্ত বাছাই। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য শিল্পীদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে এবং অডিও ক্যাসেট, অডিও সিডি ও ভিসিডি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ২০১০ সালে রিলিজ করা গ্রহণযোগ্য অ্যালবাম চেয়ে চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে অ্যাওয়ার্ডস্ এর মূল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চ্যানেল আই ভবন, ৪০ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা এই ঠিকানায় ৭ম সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্-এর অ্যালবাম জমা নেয়া হবে ১২ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়াও এবারে দেশের ৬টি বিভাগে সিটিসেল-এর প্রধান কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে নির্ধারিত ড্রপ বক্সে অ্যালবাম জমা দেয়া যাবে। ডাকযোগে অথবা সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত ড্রপ বক্সে অ্যালবাম জমা দেয়া যাবে।
দেশের ৬টি বিভাগে সিটিসেল-এর যেসব কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে অডিও অ্যালবাম জমা নেয়া হবে তা হলোÑ
১. রংপুর সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট, ডি.সি. মোড়, সিভিল স্টেশন রোড, রংপুর- ৫৪০০। ২. বরিশাল সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট, ২৫৮, সিটি প্লাজা মার্কেট (২য় তলা) সদর রোড, বরিশাল।
৩. চট্টগ্রাম সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, বিসিআইসি সদন (৩য় তলা) ২৬, আগ্রাবাদ সি/এ, চট্টগ্রাম- ৪২০২।
৪. খুলনা সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, তায়ামুন সেন্টার (২য় তলা) ১৮১, খান এ. সাবুর রোড, খুলনা- ৯১০০।
৫. রাজশাহী-সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, বাড়ি # ২৬৩, সেক্টর # ০২, উপশহর হাউজিং স্টেট, রাজশাহী-৬২০২।
৬. সিলেট গার্ডেন টাওয়ার (নীচ তলা), শাহ্জালাল, ব্রিজ লিংক রোড, উপশহর পয়েন্ট, সিলেট- ৩১০০।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪০, জুলাই ১২, ২০১১।