ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মাটির বিছানায় শায়িত আবিদ

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১১

কক্সবাজার সমূদ্রে গোসল করতে নেমে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারানো ক্লোজ-আপ ওয়ান তারকা আবিদ শাহরিয়ার কবর দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়ি খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশায় পারিবারিক কবরস্থানে। ৩০ শনিবার খুলনার মিয়াপাড়ার ‘সুনীড়’ ভবনে আবিদের মরদেহ পৌঁছালে তৈরি হয় হৃদয়-বিদারক পরিস্থিতি।

এশার নামাজের পর নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয় আবিদের জানাজা। মহেশ্বরপাশায় আরেক দফা অনুষ্ঠিত হয় তার আরেকটি নামাজে জানাজা। এরপরই অসময়ে প্রাণ হারানো সঙ্গীতশিল্পী আবিদকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

তরুণ সঙ্গীতশিল্পী আবিদ শাহরিয়ার  ২৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় আবিদের সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মী মোত্তাকিন এবং  আশিকও প্রাণ হারান। ৩০ জুলাই সকালে আবিদের মরদেহ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বেলা ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। ভেজা চোখে আবিদকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে অসংখ্য বন্ধুবান্ধব, শিল্পী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। ঘণ্টাখানেক শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাওরানবাজারের এনটিভি ভবনে। এনটিভির আয়োজনে ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান ইভেন্টে সেরা দশে জায়গা করে নিয়ে সঙ্গীতশিল্পী আবিদ সুপরিচিতি পেয়েছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টায় আবিদের মরদেহ বহনকারী গাড়ি খুলনার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে।

সঙ্গীতশিল্পী আবিদ শাহরিয়ারের ডাক নাম বাপী। ১৯৮৪ সালের ১৮ জুলাই তিনি খুলনায় দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আবিদের বাবা এডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান একজন আইনজীবি। মা রমা রহমান রূপসা কলেজের সহ-অধ্যাপিকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবিদ ছিলেন বড়।   ছোটভাই বাঁধন খুলনার সেন্ট যোশেফ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

Abidহাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী ও প্রাণোচ্ছল আবিদ শাহরিয়ার ছিলেন ক্লোজ আপওয়ানের  প্রথম আয়োজনের অন্যতম সেরা তারকা। রবীন্দ্র সঙ্গীতের জন্য তিনি সুপরিচিতি পেয়েছিলেন। আবিদ গানের পাশাপাশি ২০০৯ সালের ক্লোজ আপ ওয়ান ইভেন্ট উপস্থাপনায় ছিলেন। এছাড়াও দিগন্ত টেলিভিশনের ফেনোলাইভ অনুষ্ঠানটিও তিনি উপস্থাপনা করেছেন। কয়েক মাস আগে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রায় যোগদান করেছিলেন। মাত্রার একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজে ৩৫ জনের একটি দলের সঙ্গে আবিদ কক্সবাজার গিয়েছিলেন গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার । আবিদের সঙ্গে প্রবল স্রোতের তোড়ে প্রাণ হারানো মোত্তাকিন এবং আশিকও ছিলেন একই বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মী।

সঙ্গীতশিল্পী আবিদের অকাল মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গন সহ মিডিয়া এখন শোকে মুহ্যমান।   পুরো খুলনা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বাংলাদেশ সময় ০১৩০, জুলাই ৩২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।