আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্প্রচার শুরু হওয়া মাছরাঙা টিভি শিগগিরই আসছে টেলিছবি ‘সাইকেল’। মহিউদ্দীন আহমেদের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপে এটি পরিচালনা করেছেন পারভেজ আমিন।
ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশানাল স্কুল অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে টেলিছবি ‘সাইকেল’-এর প্রিমিয়ার শো। এতে দেখা যায়, মাখরাজ খান সব সময় চিঠি লেখে এবং চিঠি পড়ে। তার ট্রাঙ্ক ভর্তি চিঠি। একজন পেন ফ্রেন্ডের সঙ্গে সে নিয়মিত চিঠি আদান-প্রদান করে। আর জুলহাস সব সময় তার জীবনের হতাশার গল্প বলে। আপত দৃষ্টিতে এই দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। কারণ তারা ক্ষেপে গেলে একজন অপরজনের গায়ে পর্যন্ত হাত তোলে। তবে তারা একজন অপরজনকে ভালোওবাসে! অদ্ভুত এক সম্পর্ক তাদের মধ্যে।
মাখরাজের পেন ফ্রেন্ডের নাম বিন্দিয়া। ষোড়শী তরুণী। তার বাড়ি কোনো এক গ্রামে। বিন্দিয়াকে সে কোনো দিন দেখেনি। বিন্দিয়াও না। নিজের বয়স লুকোনোর জন্য মাখরাজ চিঠিতে জুলহাসের ছবি পাঠিয়েছিলো। কিন্তু সমস্যা বাধে তখন, যখন বিন্দিয়া হুট করে একদিন চলে আসে মাখরাজের বাসায়। ঘটনাক্রমে মাখরাজ সেদিন বাসায় ছিলো না। ছিলো জুলহাস। ফলে ছবির মিল পেয়ে জুলহাসকেই মাখরাজ শনাক্ত করে বিন্দিয়া। আর ওদিকে বিন্দিয়া চলে এসেছে একথা জানতে পেরে মাখরাজ দ্রুততার সঙ্গে দাড়ি কাটে এবং চুলে কলপ দেয়। পোশাক পরে যুবকের। কিন্তু জুলহাস বিন্দিয়ার সঙ্গে মাখরাজের পরিচয় করিয়ে দেয় তার বন্ধু হিসেবে। মাখরাজ সব বুঝতে পেরেও কিছু বলতে পারে না। ভেতরে ভেতের জ্বলতে থাকে। রাগে-দুঃখে লেকের ধারে ঘুরে বেড়ায়। লেকের ধারে প্রতিদিন একটা টোকাই ছেলে ঘোরে ফেরে। সেই ছেলেটার সঙ্গেও মাখরাজ খানের অদ্ভুত এক সম্পর্ক! এভাবেই এগিয়ে যায় টেলিছবিটির গল্প।
বাংলাদেশ সময় ১৯১০, আগস্ট ০১, ২০১১