পৃথিবীর দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভীড় সারা বছরই লেগে থাকে।
কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতে প্রাণহানীর ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। অসচেতনা আর অসতর্কতাই এই প্রাণহানীর প্রধান কারণ। সমূদ্র সৈকতে নামার আগে প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নিরাপত্তার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ‘নিরাপদ সমূদ্র সৈকত চাই’ শীর্ষক সামাজিক আন্দোলনের। এ উদ্দেশ্যে ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় বেশ কজন বরেণ্য সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইয়ের তেজগাঁও ভবনে মিলিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নাসিরউদ্দিন ইফসুফ, ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, আফজাল হোসেন, সানাউল আরেফিন, সামিনা চৌধুরী, আপন আহসান ও আরো অনেকে। তারা সমূদ্র সৈকতে প্রাণহানী ঘটনা এড়ানোর জন্য জনসচেতনামূলক একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হন। এ উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘নিরাপদ সমূদ্র সৈকত চাই’ আন্দোলনের জাতীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলানিউজ কথা বলে সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইফসুফের সঙ্গে। তিনি বলেন, কক্সবাজার সমূদ্র সৈকত আমাদের গর্ব। অথচ পৃথিবীর এই দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতে ঘটছে একের পর এক প্রাণহানী। সমূদ্রে নামার আগে যথাযথ সতর্কতা মেনে চললে এরকম প্রাণহানী এড়ানো সম্ভব। এ উদ্দেশ্যে জনসচেতন গড়ে তোলার জন্যই ‘নিরাপদ সমূদ্র সৈকত চাই’ আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা মনে করি, বেসরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারেরও অনেক কিছু করণীয় আছে।
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু আরো বলেন, জনসচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সৈকতে সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, পর্যাপ্ত উদ্ধার ও নিরাপত্তা কর্মী, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রভৃতি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘নিরাপদ সমূদ্র সৈকত চাই’ আন্দোলন সরকারকে আহ্বান জানাবে। এ উদ্দেশ্যে রূপরেখা তৈরি ও জাতীয় কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। সমূদ্রে সৈকতে গিয়ে আবিদ, মোত্তাকিম ও আশিকের মতো আর যেন কোন প্রাণ অকালে না হারাতে হয়, এটাই আমাদের সামাজিক আন্দোলনের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময় ২২১৫, আগস্ট ১০, ২০১১