জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির বিশ্বখ্যাত মেমরিয়্যাল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে পৌণে ৩টা পর্যন্ত তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
বিশ্বে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষ সাফল্য প্রদর্শনকারী ডা. ভ্যাচের নেতৃত্বে দীর্ঘ পর্যালোচনার পর উদঘাটিত হয় যে, যতটা মারাত্মক বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে ততটা নয়।
কোলন ক্যান্সারের বিস্তার ঘটেনি। তাই কেমোথেরাপির মাধ্যমেই এ ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন।
হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে তদারকিতে নিয়োজিত নিউইয়র্কে মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এনা জানায়, হুমায়ূন আহমেদকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়নি কিংবা তার অস্ত্রোপচারের দরকারও নেই।
বাসায় থেকেই নির্দিষ্ট সময়ে তিনি হাসপাতালে যাবেন থেরাপি দেওয়ার জন্য। ৬টি থেরাপি দিতে হবে। দু’মাস লাগবে থেরাপি শেষ হতে।
চারটি থেরাপির পর পুনরায় তাকে পরীক্ষা করা হবে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যাবে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হয়েছে কিনা। এদিকে হুমায়ূন আহমেদ আছেন খুবই হাসিখুশি।
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের মন্তব্যে তার পরিবারে সৃষ্ট বিষন্নতার ভাবও কেটে গেছে। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিশাত ও নিনিত সঙ্গে এসেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকে বার্তা সংস্থা এনার কাছে হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে ফোন করছেন।
নিউইয়র্কে মুক্তধারায়’ও অসংখ্য প্রবাসী ফোন করে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে বিশ্বজিৎ সাহা জানান। হুমায়ূন আহমেদ সকলের দোয়া চেয়েছেন। নিউইয়র্কে চিকিৎসা গ্রহণের সময়েও তিনি লেখালেখিতেই ব্যস্ত থাকবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১১